
স্পোর্টসট্যুর ডেস্ক :: রিয়াল মাদ্রিদ স্বপ্নের ভেলায় ভেসে চলেছে। তাঁদের লক্ষ্য এখন একটাই–সব ম্যাচ জিতে শিরোপা নিজেদের করে নেওয়া। এই লক্ষ্য অর্জনে কাল রাতে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হলো রিয়াল মাদ্রিদকে। শেষপর্যন্ত সের্জিও রামোসের পায়ে চড়ে পরীক্ষায় ১-০ গোলে পাস করেছে জিনেদিন জিদানের দল।
আলফ্রেডো দে স্টেফানো স্টেডিয়ামে কাল রাতে গেটাফকে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
গেটাফ কাল কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছে রিয়ালের। নিজেদের রক্ষণ একদিকে জমাট রাখলো, অন্যদিকে ওঠলো আক্রমণেও। ভীতি ছড়ালো রিয়ালের রক্ষণে। কিন্তু ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে সর্বনাশ হয় গেটাফের।
ম্যাচের শুরুতে বল দখলে এগিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু আক্রমণ বেশি ছিল গেটাফের। ৮ম মিনিটে তাঁরা গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল। মাথিয়াস অলিভেরার হেড চাভিয়েরের হাঁটুতে লেগে জালের দিকে যাচ্ছিল। ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন রিয়ালের থিবো কের্তোয়া।
ম্যাচের ২২ মিনিটে টানা চারটি কর্নার পায় গেটাফ। রিয়ালের রক্ষণ এই সময় ছিল হন্তদন্ত।
পরের মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু প্রতিপক্ষের ছোট ডি-বক্সের মধ্যে ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রচেষ্টা রুখে দেন গেটাফ গোলরক্ষক দাভিদ সোরিয়া।
ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে লুকা মদ্রিচের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। মিনিট আট পরে করিম বেনজেমা আসেনসিওর পাস থেকে নেন দুর্বল শট।
৭৯তম মিনিটে স্বস্তি আছে রিয়াল মাদ্রিদ ক্যাম্পে। ডান দিক দিয়ে দানি কারভাহাল ঢুকে পড়েছিলেন ডি-বক্সে। তাঁকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। স্পট কিক থেকে গোল করতে কোনো ভুল হয়নি সের্জিও রামোসের।
লা লিগায় এবারের মৌসুমে রিয়াল অধিনায়কের এটি নবম গোল। যা দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সামনে আছেন করিম বেনজেমা। শেষ ১১ ম্যাচের মধ্যে এটি ৬ষ্ঠ গোল ছিল রামোসের।
ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল হয়নি। স্বস্তির জয় নিয়ে বার্সাকে ৪ পয়েন্ট পেছনে ঠেলে দেওয়ার আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়েন করিম বেনজেমারা। দুই মৌসুম পর শিরোপা পুনরুদ্ধাদের দারুণ সুযোগ এখন তাঁদের সামনে।
করোনা বিরতির পর খেলা ৬ ম্যাচের সবক’টিতেই জয়ের মুখ দেখেছে জিনেদিন জিদানের দল। ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর এবারই টানা ছয় ম্যাচ জিতেছেন তাঁরা।
এই জয়ে ৩৩ ম্যাচে ২২ জয় আর ৮ ড্রয়ে ৭৪ পয়েন্ট রিয়াল মাদ্রিদের। সমান সংখ্যক ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭০। আর গেটাফে ৩৩ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে আছে ষষ্ঠ স্থানে।
শেয়ার করুন :