
স্পোর্টসট্যুর প্রতিবেদক :: জন্ম, বেড়ে ওঠা ফিনল্যান্ডে। কিন্তু বাবা কাজী শহিদুলের দেশের প্রতি টান শৈশব থেকেই ছিল কাজী তারিক রায়হানের। ফিনল্যান্ডের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলা এই ডিফেন্ডার স্বপ্ন বুনেছেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার। ডাকও এলো দুই দফা। কিন্তু ‘দুর্ভাগ্য’ যে পিছু ছাড়ছে না তারিক রায়হানের!
৮০’র দশকে কাজী শহিদুল বাংলাদেশ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফিনল্যান্ডে। সেখানকার মেয়ে আনু পিলয়াকে বিয়ে করেন তিনি। এ দম্পতির চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে কাজী তারিক রায়হান দ্বিতীয়।
লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্ন নিয়ে পথ চলা কাজী তারিক রায়হানের সামনে প্রথম সুযোগটা এসেছিল গেল জুলাইয়ে। ওই বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে খেলার জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছিলেন এই ডিফেন্ডার।
এই দফায় তারিক রায়হানের স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মহামারি করোনাভাইরাস। মহামারির প্রকোপের কারণে বাংলাদেশের ওই বাছাইয়ের সবগুলো ম্যাচ পিছিয়ে চলে যায় আগামী বছরে।
আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচ দুটি।
এসব ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ কয়েক মাস পর মহামারির কারণে বাংলাদেশের ফুটবলের বদ্ধ দরজা ফের খুলতে যাচ্ছে। প্রীতি ম্যাচ দুটির জন্য গেল মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়। দলে ডাক পান কাজী তারিক রায়হান।
লাল-সবুজের জার্সির টানে ফিনল্যান্ড থেকে উড়ে আসেন এই ডিফেন্ডার। কিন্তু এবারও হচ্ছে না তার স্বপ্ন পূরণ! কুঁচকির চোটে জাতীয় দলের স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেছেন তিনি।
গেল বুধবার অনুশীলনে চোট পান কাজী তারিক রায়হান। ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকায় বাধ্য হয়েই জাতীয় দলের ক্যাম্প ছাড়তে হয়েছে তাকে।
এ যেন ‘দুর্ভাগ্য’ পিছু টেনে ধরছে ২০ বছর বয়সী ফুটবলারের!
স্বপ্নে হোঁচট খাওয়ার পর ব্যথিত মনে তারিক রায়হান বলছিলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমাকে এখন জাতীয় দলের ক্যাম্প ছাড়তে হচ্ছে। আমি আমার ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের ক্যাম্পে ফিরে যাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাই জাতীয় দলের কোচ, সকল কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড়সহ সবাইকে। জাতীয় দলের ক্যাম্পে আমার দারুণ সময় কেটেছে। আপাতত আমার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। তবে শিগগিরই দেখা হবে।’
আগামী বছর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলো হওয়ার কথা। ওই সময় ফিট থাকলে হয়তো দলে ডাক পেতে পারেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক রায়হান।
এমন আভাস দিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে, ‘যদি সে ফিট থাকে, তবে আগামী বছর হয়তো ডাক পাবে।’
এদিকে, জাতীয় দলের ক্যাম্প ছাড়ার পর থেকে কাজী তারিক রায়হান তার ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের অধীনে থাকবেন। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তিনি ফিনল্যান্ডেও ফিরে যেতে পারেন।
শেয়ার করুন :